,

আমেরিকা মিশিগানে এমপি মজিদ খানকে নাগরিক সংবর্ধনা

নিজস্ব প্রতিনিধি:: হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য, পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এড. আব্দুল মজিদ খান বলেছেন, বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জের উন্নয়নে হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। উন্নয়ন হলো আপেক্ষিক। উন্নয়নের মূল চাবি হলো সরকার। শুধু সরকার হলেই হবে না। সরকারের যিনি প্রধান থাকেন তার আন্তরিকতা সর্বাগ্রে দরকার। এক্ষেত্রে আমি সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। কারণ আমি এমন এক সময় এমপি হয়েছি যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। একটি সুনির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে ধীর পদে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ঠিক সেই সময় জননেত্রীর কর্মকান্ডে সহযোগিতা করার আমি সুযোগ পেয়েছি। তিনি বলেন, আমি উনার ৯ম ১০ম ও ১১তম এমপি। এর আগে আমার এলাকায় আরো ৭/৮ জন এমপি হয়েছেন। তারা কেউই আমার চেয়ে অনুপযুক্ত ছিলেন না। বরং তারা ছিলেন আমার চেয়ে শিক্ষিত ও যোগ্য। কিন্তু আমার এলাকায় তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। কারণ মূল চাবি ঠিক ছিল না। আমি এজন্য বলে থাকি বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জের উন্নয়নের জন্য যদি কোন কৃতিত্ব দিতে হয় দিতে হবে শেখ হাসিনাকে। আব্দুল মজিদ খান এমপির গতকাল ১২ অক্টোবর গত শনিবার রাতে হ্যামট্রাম্যক শহরের কাবাব হাউসে তার সম্মানে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। মিশিগানে বসবাসরত হবিগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। ডাঃ অহিদুর রহমান চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিশিগানে সদ্য আগত যুগান্তরের বানিয়াচং উপজেলা প্রতিনিধি তোফায়েল রেজা সোহেল। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিরাজুল হক, মিশিগান মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস শাকুর খান মাখন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুতালিব, মিশিগান স্টেইট আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু আহমেদ মুসা, ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার জয়নাল আবেদীন, তুহিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আহাদ আহমদ প্রমুখ। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআান তেলাওয়াত করেন লুৎফুর রহমান সেলু এবং পবিত্র গীতা পাঠ করেন কালীশংকর দেব। সংবর্ধিত প্রধান অতিথি সভাস্থলে এসে পৌঁছলে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। সভা শেষে প্রধান অতিথিকে মিশিগানে বসবাসরত হবিগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে ক্রেষ্ট উপহার দেয়া হয়। সভা পরিচালনা করেন মিজান মিয়া জসিম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এড. মজিদ খান আরো বলেন, অবহেলিত ও পশ্চাৎপদ বানিয়াচঙ্গ ও আজমিরীগঞ্জের যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ক্ষেত্রে একটা বিশেষ পরিবর্তন এসেছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জ-শাল্লা, আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং ভায়া হবিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রস্তাবটি একনেকে পাস হয়েছে। এজন্য ৭শ ৭৯ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে সুনামগঞ্জের মানুষ ২ ঘন্টা কম সময়ে ঢাকা যাওয়া আসা করতে পারবে। তিনি বলেন, দুর্নীতি আমাদেরকে অক্টোপাসের মতো বেধে ফেলেছে। এই দুর্নীতির জন্য বর্তমান সরকারের এতো উন্নয়ন, অর্জন ¯œান হতে পারে না। তিনি বলেন, জননেত্রী যেভাবে দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন, ঠিক একইভাবে দুর্নীতিবিরোধী  আন্দোলনেও তিনি সফল হবেন। মজিদ খান এমপি তার এলাকায় হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, এসব উন্নয়নের সাথে সরকারের যে কোন সংস্থা যদি তার কোন দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করতে পারে তাহলে তিনি শুধু রাজনীতিই নয়, আইন পেশা থেকেও অবসর নেবেন। মজিদ খান এমপি বলেন, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা ইউরোপ আমেরিকা এসে ভালো রেজাল্ট করছে। অথচ দেশে তারা তেমন ভালো রেজাল্ট করতে পারে না। আমাদের এখানে ভাল রেজাল্ট হচ্ছেনা। কেন, বিষয়টা কি? নিশ্চয় আমাদের মধ্যে কোন গলদ আছে বা লেখাপড়ার সিস্টেমের মধ্যে কোন গলদ থাকতে পারে। আছেই হয়তো। আমাদের মেধাবী নেই একথা বলা যাবে না। আমরা মেধাবী। কিন্তু বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা মেধাটাকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারছি না। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, রাজনীতি সম্পর্কে মানুষের মনে একটা ভ্রান্ত ধারণা জন্মেছে। এই ধারণায় কে সৎ কে অসৎ তা বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, মানুষের এই ধারণায় যে পর্যন্ত পরিবর্তন আনা সম্ভব না হবে, সে পর্যন্ত এই কলঙ্ক তিলক আমাদের কপালে থাকবেই। আমি বিশ্বাস করি এক সময় এটা নিবারণ করা সম্ভব হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর